জ্ঞাত আয় বহির্ভূত মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা রয়েছে অন্য ৯টি মামলায় ইতিমধ্যে পাপিয়া জামিনে থাকায় তার মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। এর আগে, ২০২২ সালে সাড়ে ৬ কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু, আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা জানিয়েছি, দুদক থেকে সিদ্ধান্ত হলে আপিলে আবেদন করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাপিয়া হোটেল ওয়েস্টিনে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা বিল দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। ওয়েস্টিনে ১১ জন নিয়ে নিয়মিত থাকতেন তিনি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে পাপিয়ার ৮৮ জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর ইন্দিরা রোডে পাপিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র মামলাতেই পাপিয়া ও তার স্বামীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।