গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। জাহাঙ্গীরের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন। রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ বলেন, যে অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আগেও একই অভিযোগ আনা হয়েছিল। তখন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়নি।
স্থানীয় সরকার সচিব, সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মশিউর রহমান সবুজ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে গাজীপুরের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর আগে ১৯ নভেম্বর তাকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল- তার বিরুদ্ধে ভুয়া টেন্ডার, আরএফকিউ, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতি বছর হাটবাজার ইজারার অর্থ যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ নানাবিধ অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এদিকে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়া সাত মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন পেয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এ মেয়র।
গত ৪ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে এ জামিন দেন। তবে জামিনের বিষয়টি সোমবার জানা যায়। পঞ্চগড়, রাজবাড়ী, গাজীপুর, নওগাঁ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ জেলায় দায়ের হওয়া এসব মামলায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক আগাম জামিন পেলেন।