আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে ‘বড় সংখ্যার’ কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া । শ্রমিকদের বেতন, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করার আশ্বাসও দিয়েছে দেশটির সরকার।
১৫ মে-২০২৫ বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার পুত্রাজায়ায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বৈঠকে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং নতুন কর্মী নিয়োগে স্বচ্ছ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ পদ্ধতি চালু করাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। কিছু কর্মীকে বিনা খরচে নিয়োগের সম্ভাবনাও রয়েছে।’
এদিকে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ শ্রমিকদের বৈধতা দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাদা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা জানান, মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের গড় মজুরি মধ্যপ্রাচ্যের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যদি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা যায়, তবে মালয়েশিয়া হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রেমিট্যান্স উৎস।’
বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন সিনিয়র সচিব নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া ও উপসচিব মো. সারওয়ার আলম।
সূত্র জানায়, আগামী কয়েক বছরে কয়েক লাখ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে পারে মালয়েশিয়া। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২০ হাজারের বেশি কর্মীকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে উপসচিব সারওয়ার আলম বলেন, ‘ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আগামী ২১ মে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় যৌথ কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত হবে বলে আমরা আশাবাদী।’