বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাড়ে তিন মাস কারাবন্দি থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩ টা ৩০ মিনিটে তিনি কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে মির্জা ফখরুলের প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করা হয়। কারাগারে তার জামিননামা ও প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের আবেদন পৌঁছলে তা যাচাই-বাছাই করে তাদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৮ অক্টোবর গুলশানের নিজ বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
বিএনপি মহাসচিব মুক্তি পাচ্ছেন এমন খবরে সকাল থেকেই কারাফটকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অপেক্ষমান ছিলেন। মির্জা ফখরুল বেরিয়ে আসার পর তারা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় তারা গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন তার গাড়িতে। পরে মির্জা ফখরুল সাদা রংয়ের পাজেরো গাড়িতে করে উত্তরার বাসার দিকে রওয়ানা হন। এ সময় তিনি ছাদখোলা ওই গাড়িতে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের অভিনন্দনের জবাব দেন। মির্জা ফখরুলের সঙ্গে আছেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।
এদিন দুপুরে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, সব মামলায় মির্জা ফখরুলের প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।