আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনের ঢেউ তারা টেমস নদীর পাড় থেকে গুলশান অফিসে তুলতে পারেন কিন্তু পদ্মা-মেঘনা-যমুনার পলিবিধৌত মুজিবের বাংলায় নয়। তিনি সোমবার সকালে রাজধানীর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। বিএনপির আন্দোলনের হুমকির কড়া সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন– জনগণের উত্তাল ঢেউ নাকি রাজপথে উঠবে। মির্জা ফখরুল সাহেব যা বলেন, তা নিজে বিশ্বাস করতে পারেন কিনা? আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা এখন গণমাধ্যমের প্রতি লোকদেখানো লিপ সার্ভিস দিচ্ছে। বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক আষাঢ়ের আকাশের মতো। সোশ্যাল মিডিয়া আর গণমাধ্যমে যতটা গর্জে বাস্তবে রাজপথে ততটা বর্ষে না বলেও জানান তিনি। ‘বিএনপি একবার নিরাপদ সড়ক, আবার কোটাবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ ধর্ষণবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে ভর করে সরকারের পদত্যাগ চেয়েছিল, যা হালে পানি পায়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই বলে বারবার মিথ্যা ও পুরনো অভিযোগ করে চলছে, সরকার নাকি ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না? ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের সব রাজনৈতিক আন্দোলনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারের পদত্যাগের দাবি জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই, সময় এলেই সংবিধান অনুযায়ী ভোট হবে।
বিএনপি নেতাদের এসব ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশে আওয়ামী লীগের মাঝেই পরমতসহিষ্ণুতা আছে; আর আছে বলেই বিএনপি অনবরত মিথ্যাচার করতে পারছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতাগ্রহণের প্রথম তিন মাসে ৫০ সাংবাদিক আক্রমণের স্বীকার হয়েছিলেন, তখন খোদ গণমাধ্যম রিলেটেড সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’-এর এক রিপোর্টে তা প্রকাশ হয়েছিল।ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র এক টাকার বাইসাইকেল নয়, এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ কাঠামো, সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলের গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।