রিফাদ হোসেন (১৭) নামের শিক্ষার্থীকে আবাসিক হোটেলের কক্ষে আটক করে হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। পুলিশ ওই নির্যাতিত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। রিফাদের বাড়ি সূর্যমনি ইউনিয়নের নুরাইনপুর গ্রামে। তার বাবার নাম নুরুল আমিন খান। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী রিফাদ জানায়,বখাটে রনি তাকে ধরে নিয়ে টাকার জন্য হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,নুরাইনপুর দাখিল মাদ্রাসার দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রিফাদ হোসেন তার অন্তঃসত্ত্বা বোন নাজনিন নাহারকে (২৮) নিয়ে ঘটনার দিন রাত সোয়া ১১টার দিকে বাউফল পৌর শহরের একটি ক্লিনিকে আসেন। বোনকে ওই ক্লিনিকে ভর্তির পর ওষুধ আনার জন্য ফার্মেসিতে যাওয়ার পথে গুলশান সড়কের সামনে থেকে আবুল বশার রনি (২৮) নামের এক বখাটে যুবক তাকে ডেকে পাশের আল আমিন নামের আবাসিক হোটেলের একটি রুমে নিয়ে তার কাছে টাকা দাবি করে। এ সময় রিফাদ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রনি তার হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তার সাথে থাকা বোনের জন্য ওষুধ কেনার টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায় রনি। এরই মধ্যে রিফাদের আসতে বিলম্ব দেখে তার বড়বোন তাকে খুঁজতে বের হন। না পেয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। এ সময় বখাটে রনি থানায় গিয়ে হোটেলের কক্ষে চোর আটক করা হয়েছে বলে পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রিফাদকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১২টায় বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
রিফাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাউফল থানা পুলিশ রনিকে গ্রেফতার করে সোমবার সকালে পটুয়াখালী আদালতে প্রেরণ করেছে। রনির বাবার নাম জাহাঙ্গীর হোসেন। পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডে তার বাসা। রনি একজন মাদকসেবী বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।