Tuesday, October 14, 2025
Homeবাণিজ্যবাংলাদেশের পুঁজিবাজারে আসছে হাজার কোটি টাকার বেশি আইপিও

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে আসছে হাজার কোটি টাকার বেশি আইপিও

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে আসছে হাজার কোটি টাকার বেশি আইপিও। নয়টি কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ছেড়ে এক হাজার কোটি টাকার বেশি মূলধন সংগ্রহ করার অনুমতি পেয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পাওয়া এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে তিনটির আইপিওর চাঁদা তোলার সূচি ঠিক হয়েছে। এর মধ্যে দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আইপিও নিয়ে আসছে টেলিযোগাযোগ খাতের দ্বিতীয় শীর্ষ কোম্পানি রবি আজিয়াটা। কোম্পানিটি ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা তুলবে। ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড ও ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডসহ তিনটি কোম্পানিই ফিক্সড প্রাইস মেথডে টাকা তুলবে। বাকি ছয়টির চাঁদা তোলার সূচি ঠিক হয়নি। এগুলোর তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ও ই-জেনারেশন ফিক্সড প্রাইস মেথডে আসছে। আর বাকি চারটি- মীর আক্তার হোসাইন, লুব-রেফ বাংলাদেশ, ইনডেক্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন- বুক বিল্ডিং মেথডে অর্থ সংগ্রহ করবে। অনেকগুলো আইপিওর প্রভাবে স্বল্প মেয়াদে পুঁজিবাজারে কিছুটা সূচক পতন হলেও মানসম্পন্ন আইপিওর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব যে ইতিবাচক হবে তা নিয়ে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের কারোরই দ্বিমত নেই। তবে ঝুঁকিপূর্ণ পুঁজিবাজারের কথা বিবেচনা করে কোম্পানি মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কিনা তা যাচাই করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা- সেটা আইপিও হোক বা সেকেন্ডারি শেয়ার হোক। এ বিষয়ে ব্রোকারেজ হাউজ রশিদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ রশিদ লালী বলেন, কোম্পানি বুঝতে প্রথমে দেখতে হবে উদ্যোক্তা কারা; ভালো লোক থাকলে ভালো কোম্পানি। এর দেখতে হবে বিগত বছরে কোম্পানির বিক্রি ও মুনাফা বেড়েছে কিনা; সাথে দেখতে হবে লভ্যাংশ দেওয়ার হার কেমন ও তা বাড়ছে কিনা।“এর সাথে দেখতে হবে তাদের ভবিষ্যৎ কী? কোনো কোম্পানি আগে লাভ করেছে, ঠিক আছে। কিন্তু সামনে লাভ করতে পারবে কিনা সেটাও দেখতে হবে।” নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি যাচাইয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন; সম্পদের পরিমাণ ও তার যথাযথ ব্যবহার; লভ্যাংশ প্রদানের চর্চা ও তার হার; বার্ষিক সাধারণ সভা ও শেয়ারহোল্ডারদের মতামতে গুরুত্ব দেওয়া হয় কিনা; কোম্পানির মুনাফা, শেয়ারপ্রতি আয়, শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদের পরিমাণ ও তার ধনাত্মক প্রবৃদ্ধি; সঠিক সময়ে সব মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ হয় কিনা এবং সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত সব আইন-কানুন, বিধি-বিধান মেনে কোম্পানি চালানো হয় কিনা তা বিবেচনায় নিতে হয়। পুঁজিবাজারে আইপিও ছাড়ার অনুমতি পাওয়া কোম্পানির নাম পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল। ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, রবি আজিয়াটা, তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, মীর আক্তার হোসাইন লিমিটেড, লুব-রেফ বাংলাদেশ, ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদী ভালোর জন্য বেশি বেশি আইপিও আসতে দিতে হবে। তবে আইপিওর মান ভালো হতে হবে। আইপিওর মান নিশ্চিত করতে অবহেলার ক্ষেত্রে ইস্যু ম্যানেজারে বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থার কথা ভাবতে পারে বিএসইসি। ইন্ডিয়াতে এক সময়ে কখনো কখনো চারটা/পাঁচটা কোম্পানির আইপিওর চাঁদার তারিখ ফেলা হয়। ভাল কোম্পানিগুলো ফান্ড পায়, খারাপগুলো ফান্ড পায় না। কিন্তু আমাদের দেশে তো বাঁচিয়ে করা হয়।

  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য