বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ব্যাংককের শাংগ্রি-লা হোটেলে তাদের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক ইউনূস ও থাকসিন পারস্পরিক আগ্রহের অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের আসিয়ান সদস্যপদ লাভে থাকসিনের সমর্থন চান। তিনি সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার শাসনামলে থাই-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও সহযোগিতা সম্প্রসারণে ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এছাড়াও, তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় করা, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়তা ও এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় থাকসিনের মূল্যবান সহায়তা কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস তার পুরনো বন্ধু থাকসিনের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থাকসিন বাংলাদেশে এসে গ্রামীণ ব্যাংক পরিদর্শন করেছিলেন এবং গ্রামীণ ব্যাংকের সফল মাইক্রোক্রেডিট প্রোগ্রাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে থাইল্যান্ডে একটি মাইক্রোক্রেডিট প্রোগ্রাম ডিজাইন করেছিলেন। ওই বছরের জাতীয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকসিন অধ্যাপক ইউনূসকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
তারা চিয়াং মাই ও চট্টগ্রামের মধ্যে বিমান রুট পুনরায় চালুর সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন, যা একসময় বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে যাত্রার সময় এক ঘণ্টায় নামিয়ে এনেছিল। থাকসিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে উদ্বোধনী ফ্লাইটে চট্টগ্রাম থেকে চিয়াং মাই ভ্রমণের কথা স্মরণ করেন। তারা বৈশ্বিক বাণিজ্য ইস্যু ও থাইল্যান্ডের গ্রামীণ অঞ্চলে মাইক্রোক্রেডিট ও সামাজিক ব্যবসা সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা করেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
