তালেবান দেশের সবকটি প্রদেশ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরও পাঞ্জশির ছিল অজেয়।
তালেবান দেশের সবকটি প্রদেশ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরও পাঞ্জশির ছিল অজেয়। কিন্তু তালেবানের কৌশলের কাছে এ অঞ্চলের যোদ্ধারা টিকতে পারেননি। পতন হয় পাঞ্জশিরের।
৩৪তম প্রদেশ হিসেবে পাঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। ঘোষণা করে অন্তর্র্বতী সরকার। এখন ধীরে ধীরে দেশের প্রায় সবকটি অঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। পাঞ্জশিরেও সড়ক খুলেছে এবং পুনরায় চালু হয়েছে টেলিকম সেবা।
অন্তর্র্বতী সরকার এবং প্রদেশের বাসিন্দাদের সূত্রে এ তথ্য জানায় আফগানিস্তানের গণমাধ্যম টোলো নিউজ।
স্থানীয়রা জানান, প্রদেশে এখনও বিদ্যুৎ সেবা চালু হয়নি।
স্থানীয় সাংবাদিক মোহাম্মদ ওয়াসি আলমাস বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে টেলিকম নেটওয়ার্ক কাজ করছে। বর্তমানে মূল সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, যা এখনও সমাধান হয়নি।
পাঞ্জশিরের স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ‘৯০ শতাংশের’ মতো বাসিন্দা সংঘাতের জেরে পাহাড়ে পালিয়ে গেছেন। প্রদেশে অর্থনৈতিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
মৌলভী মাওলভী সানা সঙ্গীন ফাতিহ বলেন, প্রদেশের পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক। নারী, শিশু এবং প্রদেশের নাগরিকদের নিরাপদ রাখা আমাদের দায়িত্ব। বিদ্যুৎ না থাকা বা খাদ্যের অভাব এগুলো সব মিথ্যা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নেতা আহমাদ মাসুদ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহযোগিতা চেয়ে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেন তালেবানকে স্বীকৃতি না দেয় এটিও তাদের চাওয়া।
অন্তর্র্বতী সরকারের সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য সাইদ খোস্তি বলেন, এটি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তারা চেষ্টা করেই যাচ্ছে, কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা পরাজিত হয়েছে। আপনি দেখেছেন, তাদের ট্যাংক, বিমান এবং অস্ত্র এখানে পড়ে রয়েছে।
দীর্ঘ লড়াই শেষে পাঞ্জশিরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর অন্তর্র্বতী সরকার গঠন করে তালেবান। এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায় নতুন সরকারের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।