পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ৩০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পঞ্চগড় শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুরো এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা শহরে অবস্থিত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও ট্রাফিক অফিসে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও পঞ্চগড়ের ফুলতলা এলাকায় আহমদনগরে ৩ দিনব্যাপী বার্ষিক সালানা জলসার আয়োজন করে আহমদিয়া সম্প্রদায়। স্থানীয় মুসল্লিরা জলসা প্রহিতের চেষ্টা করলে এ সংর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জুমার নামাজের পর স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদের শত শত মুসল্লি শেরেবাংলা নগর পার্ক এলাকায় অবস্থান নিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা এসে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা জাতীয় মহাসড়কে অবস্থান নেন এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।
একপর্যায়ে তাদের অবস্থান বিক্ষোভে রূপ নেয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে। বিক্ষুদ্ধ লোকজনও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সময় সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ ব্যক্তি আহত হন। বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বার্ষিক সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কে সাড়ে ৪ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে সর্বস্তরের জনতা।পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশের পাশাপশি বিজিবি ও র্যাবের টহল অব্যাহত রয়েছে।