Tuesday, October 14, 2025
Homeআইন-আদালতনিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় এক নম্বর আসামি বিএনপি নেতা

নিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় এক নম্বর আসামি বিএনপি নেতা


রাজধানীর নিউমার্কেট ও আশেপাশের মার্কেটগুলোতে সংঘর্ষের ঘটনায় নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেনকে ১ নম্বর আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জখম ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা ওই মামলায় মকবুল ছাড়াও আরও ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া নিউমার্কেটের অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনশ’ ব্যবসায়ী ও কর্মচারী এবং ঢাকা কলেজের ছয় থেকে সাতশ’ ছাত্রকে মামলার আসামি করা হয়েছে বলে পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহেনশাহ মাহমুদ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
গোয়েন্দা তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এজাহারে আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল নামে যে দুটি ফাস্ট ফুড দোকানের কর্মচারীর মধ্যে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ শুরু হয়, সেই দোকান দুটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে বরাদ্দ নিয়েছিলেন মকবুল হোসেন। পরে দোকান দুটি তিনি ভাড়া দেন।
এ ব্যাপারে মকবুল হোসেন নিজেকে নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি পরিচয় দিয়ে বলেন, নব্বইয়ের দশকে সিটি করপোরেশন থেকে দোকান দুটি ভাড়া নেন তিনি।

খাবারের দোকান দুটি নিজের মালিকানাধীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিউ মার্কেটের খাবারের দোকান ওয়েলকাম ফাস্টফুড চালান আমার ছোট ভাই এবং ক্যাপিটালের ফাস্টফুডের মালিক আমার চাচাতো ভাই শহীদুল ইসলাম। তাকেও এই মামলার আসামি করা হয়েছে। ঘটনাটি মূলত কর্মচারীদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে। এখানে রাজনৈতিকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।

তার দাবি, গত চার মাস তিনি ওই এলাকাতেই যাননি। তাই ইটপাটকেল নিক্ষেপ, জখম, ভাঙচুরের প্রশ্নই আসে না বলে দাবি করেন তিনি।
এই মামলায় নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, মিজান ব্যাপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, হেহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।

এ ঘটনায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি।

সোমবার রাত ১২টায় নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়ান। পরদিন মঙ্গলবারও দিনভর থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। মঙ্গলবার রাতে দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত নাহিদ (১৮) নামে এক তরুণ চিকিৎসাধীন মারা যান। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সংঘর্ষে আহত দোকানী মোরসালিন (২৬)।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য