নাফ নদী থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ১৫ দিন পর বাংলাদেশি ৯ জেলেকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফিরিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রতিনিধি দল ৯ জেলেকে নিয়ে ট্রানজিট জেটি দিয়ে টেকনাফে ফেরেন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার গমন করে। বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমারের মংডুতে ১নং এন্ট্রি/এক্সিট পয়েন্টে বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এবং মিয়ানমার ৪ নম্বর (৪) বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৯ জন বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত আনা হয়।
গত ১০ নভেম্বর নাফ নদী থেকে ৯ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপি। এ সময় ইঞ্জিন বিকল হয়ে জেলে নৌকাটি মিয়ানমার সীমানায় চলে যায়। পরে জেলেদেরকে ফেরত আনার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পক্ষে জোরালো প্রচেষ্টা চালানো হয়। বিজিবির তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে বিজিপি কর্তৃক বিজিবি কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত তাদের হস্তান্তর করতে সম্মত হয়।
অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে ১০ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান এবং সাত সদস্য বিশিষ্ট মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ৪ বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের লে. কর্নেল জ্য লিং অং।
মিয়ানমার হতে ফেরত আনা ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে পুলিশের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ফেরত আনা জেলেরা হচ্ছেন- টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ গোলারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল আলম (৪৮), ইসমাইল প্রকাশ হোসেন (১৯), মো. ইলিয়াছ (২১), মো. ইউনুছ (১৬), মোহাম্মদ আলম প্রকাশ কালু (১১), সাইফুল (১৭), সলিম উল্লাহ (২৫), নুর কামাল (১৩), মো. লালু মিয়া (২৩)।