নাটোরে ৮ ঘণ্টা ব্যবধানে দুই কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা কারাগারে ওই দুইজন অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য তাদের নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন।
মারা যাওয়া কয়েদিরা হলেন- নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া গ্রামের ওসমান শেখ (৩৩) ও পাবনার চক ভারাড়া গ্রামের আনছার শেখ (৪৬)। নাটোর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খালিদ হাসান শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে মর্গে গিয়ে লাশ দুটি পর্যবেক্ষণ করেন।
নাটোর জেলা কারাগার ও নিহত দুজনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নাটোরের লালপুরের ২০২১ সালের একটি হত্যা মামলায় কারাগারে যান আনছার শেখ এবং গত ১৪ মার্চ মাদক মামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে আসেন নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া গ্রামের মৃত নুরু শেখের ছেলে ওসমান শেখ। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ওসমান শেখ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে শুক্রবার ভোর প্রায় ৪টার দিকে আনছার শেখ হঠাৎ করেই অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে তাকেও চিকিৎসার জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে নিহত ওসমান শেখের ভগ্নিপতি মুকুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, দুই সন্তানের জনক ওসমান শেখের কিছু সমস্যা থাকায় পরিবারে আলোচনা করে তারাই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে ছিলেন। সেখানে ওসমান শেখের কাছে এক পুড়িয়া গাঁজা পাওয়ায় পুলিশ তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। জেল সুপার আব্দুর রহিম নিহত ওসমান শেখের কাছে গাঁজা পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও নির্যাতন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, কোন নির্যাতন নয়, উভয় ব্যক্তি অসুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক ভাবেই মৃত্যুবরণ করেছেন।