ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় কাজ বাবদ ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা পায়। আর ২০১৮ থেকে ২০১৯ অর্থবছরে এ কাজ থেকে সমিতি আয় করে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা।
এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা। বাকি ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ছয়টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে আসামিরা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন এবং সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টেও তা ‘প্রমাণিত’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে মামলায়।
তাকসিম এ খান ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে রয়েছেন। প্রথম নিয়োগের পর থেকে মোট ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ওয়াসার কর্মচারীদের সমবায় সমিতির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন সরকার বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে ওই ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। মহানগর হাকিম আশেক ইমাম বাদীর জবানবন্দি শুনে বিষয়টি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মুনজুর আলম।তাকসিম ছাড়াও ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপপ্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালেকুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে মামলার আর্জিতে।