ট্রেনের ছাদে যাত্রী বহন বন্ধ করতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা নিয়ে শুনানিতে এ নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানি করে এই মৌখিক আদেশ দেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে কিছু সিন্ডিকেটের কারণেই দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ‘ তিনি আরও বলেন, ‘আজ থেকেই ট্রেনের ছাদে যাত্রী চড়া বন্ধ ঘোষণা করা হলো। একই সঙ্গে রেলের টিকিট কালোবাজারি বন্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রেলওয়েকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, রেলওয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক (অপারেশন্স) এএম সালাউদ্দিন, পরিচালক (ট্রাফিক) নাহিদ হাসান খান এবং সহজ ডটকমের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জুবায়ের হোসেন এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিকালে রেল কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, কেন ট্রেনের ছাদে লোক ওঠে— এটি কি পয়সা ইনকামের পথ? ট্রেন জাতীয় সম্পদ। ট্রেন কি আপনারা গ্রাস করতে চাচ্ছেন?
এ সময় রেল কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, ‘মাই লর্ড, ছাদে যাত্রী ওঠা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, এটা আমাদের ব্যর্থতা।‘ এ সময় বিচারক বলেন, ‘ছাদে বা দাঁড়িয়ে যারা যাচ্ছে, তারা কি টাকা দিচ্ছে না? এটা তো দুর্নীতি। আর ছাদে যাত্রী উঠানো বন্ধ করতে পারছেন না— এই অসহায়ত্ব প্রকাশ করলে কি দেশ চলবে? এটি কোনো কথাই না। আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। অসম্ভব বলে কিছু নেই। এগুলো ঠিক হতে আর কতদিন সময় লাগবে? দেশ স্বাধীনের তো ৫০ বছর হয়ে গেছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী একেএম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘মহিউদ্দিন রনির আন্দোলনের যুক্তি এবং তার ছয় দফার বিষয়ে বুধবার জানতে চেয়েছিলেন আদালত। আমি রেলের ডিজির সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেছি, তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে কমিটি গঠনের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাদের জিএমকে চিঠি দিয়ে মহিউদ্দিন রনির দাবি-দাওয়া সম্পর্কে আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।