জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
চার বছর ধরে ভোলার লালমোহন পৌর শহরে একটি রিক্সাভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে ডিম কেক বানিয়ে বিক্রি করছেন মো. জাফর। প্রতিদিন এক থেকে দেড়শত ডিম কেক বিক্রি করতে পারেন তিনি।
জাফরের বানানো প্রতি পিস ডিম কেকের দাম ২৫ টাকা। এতে করে গড়ে তিনি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা বিক্রি করতে পারেন প্রতিদিন। যেখান থেকে তার লাভ হয় ছয় থেকে সাতশত টাকা। কেবল সন্ধ্যা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্তই তিনি এ কাজ করেন। এতেই করে যা আয় হয় তাতে ভালোভাবেই চলছে জাফরের সংসার। দিনের বেলায় ডিম কেক তৈরির বিভিন্ন উপাদান প্রস্তুত করে ও নামাজ পড়ে কাটান তিনি।
দেখা গেছে, এই কেক তৈরি করতে ডিম, ময়দা, চিনি, দুধ, গ্লোকোজ আর তেল ব্যবহার করেন জাফর। এই ডিম কেক স্বাস্থ্যকর বলেও দাবী তার।
জাফর বলেন, বর্তমানে তিনি লালমোহন পৌর শহরের থানার মোড়ে একটি ভাড়া বাসায় একাই থাকেন। তার মূল বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার হাজারিগঞ্জে। সেখানে তার পরিবারে রয়েছে স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই পুত্র সন্তান। আগে চট্টগ্রামের একটি চালের আড়তে দিনমজুরিতে কাজ করতেন তিনি। তবে বয়স হওয়ায় সেখান থেকে এসে এই ডিম কেক বিক্রি শুরু করেন। এই ডিম কেক বিক্রির আয় দিয়ে তার সন্তানদের পড়ালেখার ও সংসারের খরচ চলছে। এতে যা আয় হয় তাতেই খুশি তিনি।
এই ডিম কেক খেতে আসা জাহিদ, আব্দুস সালাম ও মনির হোসেন বলেন, শরীরের কথা ভেবে বাহিরের খাবার তেমন একটা খাই না। তবে জাফরের ডিম কেক প্রায় সময়ই খাই। যতটুকু দেখেছি এতে ক্ষতিকর কোনো পদার্থ মিশানো হয় না, কারণ আমাদের চোখের সামনেই তৈরি করা হয় এই কেক। তাই এই ডিম কেক খাওয়া এখন অভ্যাসের মতই হয়ে গেছে। এটি খেতেও সুস্বাদু।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর লালমোহন শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম জনি বলেন, মানুষের সহায়তার জন্য বসে না থেকে নিজে কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা উত্তম কাজ। জাফরের এই উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো কাজ। আমাদের সকলেরই উচিত নিজেকে নিজের কর্মসংস্থান তৈরি করা।