Monday, October 13, 2025
Homeনির্বাচনজাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) প্রকাশ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) প্রকাশ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) প্রকাশ করেছে। ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ রোডম্যাপ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) যে কাজগুলো আছে তা একটির সঙ্গে আরেকটি যুক্ত। ইতোমধ্যে কিছু কিছু কাজ শুরু হয়েছে। এ কর্মপরিকল্পনা ২৪টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

কর্মপরিকল্পনায় যে ২৪টি কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ইসি-
অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ : সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু, শেষ হতে সময় লাগবে দেড় মাস।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ : ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ধাপের সম্পূরক খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যা চূড়ান্ত হবে ৩১ আগস্ট। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ৩০ নভেম্বর। এজন্য খসড়া প্রকাশ হবে ১ নভেম্বর।

নির্বাচনী আইন ও বিধি : সকল আইন ও বিধি ৩১ আগস্টের মধ্যে সংশোধনের প্রস্তাব ও প্রণয়ন। এছাড়া সংসদী আসনের সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধন, ভোটার তালিকা আইন সংশোধন, সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র নীতিমালা ও ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সংবাদিক নীতিমালা চূড়ান্ত, নির্বাচন পরিচালনা (সংশোধন) ২০২৫ প্রতীকসহ, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন ১৯৯১, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ২০০৯ -এগুলো আইন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন, যা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার আশা।

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন : ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত।

সীমানা নির্ধারণ : ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জিআইএস ম্যাপ প্রস্তুত ও প্রকাশ।

আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রোজার আগে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সংক্রান্ত চিঠিও নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন, ভোটের তারিখের প্রায় দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কমিশন সভায় আলোচনা শেষে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দেবে ইসি।

পর্যবেক্ষক নিবন্ধন ২২ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত করে ১৫ নভেম্বর নিবন্ধন সনদ প্রদান। বিশেষ পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমতি প্রদানের যাবতীয় কার্যক্রম ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। এছাড়া ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী তথ্য প্রচারের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, টিএন্ডটি, বিটিআরসিসহ বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সঙ্গে সভা করবে ইসি।

নির্বাচনী ম্যানুয়েল, নির্দেশিকা, পোস্টার ইত্যাদি মুদ্রণ ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ২৯ আগস্ট থেকে ভোটগ্রহণের ৪ থেকে ৫ দিন আগে যাবতীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষ করবে ইসি। নির্বাচনের সকল প্রকার মালামাল সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রম ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। ব্যবহারযোগ্য স্বচ্ছ ব্যালট চূড়ান্ত হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।

১৫ নভেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাজেট চূড়ান্ত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য অর্থ বরাদ্দের বৈঠক ১৬ থেকে ২০ নভেম্বর। নির্বাচনের জন্য জনবল ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে চায় ইসি।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম সভা হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। অন্যান্য কার্যাবলী ধাপে ধাপে গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে ৩১ অক্টোবর।

৩১ অক্টোবরের মধ্যে আইসিটি সংক্রান্ত সকল কাজ শেষ করতে চায় কমিশন। সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখা, ফলাফল প্রকাশ ও প্রচার, বেসরকারি ফলাফল প্রচার সংক্রান্ত কার্যক্রম নির্ধারণ। ২০২৬ সালের জানুয়ারি মধ্যে প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ হবে।

আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রোজার আগে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন, ভোটের তারিখের প্রায় দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ইসি ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল জানাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য