বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের দায়ে মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াস জোমাদ্দারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মামলায় বাদীপক্ষে ১৫ জন এবং আসামিপক্ষে দুজন মিলিয়ে মোট ১৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন বিচারক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
ধর্ষক ইলিয়াস জোমাদ্দার এ মামলায় একাই আসামি। তিনি শরণখোলা উপজেলার উত্তর খোন্তাকাটা রাশিদিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার সুপার এবং উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের আবদুল গফফার জোমাদ্দারের ছেলে। মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) রণজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট সকাল ৭টায় আরবি শিক্ষা নিতে গেলে ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসার লাইব্রেরিতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন সুপার ইলিয়াস জোমাদ্দার। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াস ওই ছাত্রীকে জিনে ধরার কথা বলে পানি পড়া দেন। এর পর মেয়েটির বাবা-মা স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করান। একপর্যায়ে মেয়েটি তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। ঘটনার ১১ দিন পর ১৯ আগস্ট মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াস জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) তদন্ত করে।