চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মামলা করায় পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক আনোয়ার হোসেন পেয়াদা (৪৯) ও তার পরিবার নানা ধরনের হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল সোমবার (৩০ জুন) রাতে বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন কৃষক আনোয়ার হোসেন । অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব বিস্তারকারী মাসুদ শরিফের নেতৃত্বে একটি চক্র বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল। সম্প্রতি এই চক্রের বিরুদ্ধে আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. আরিফ হোসেন পটুয়াখালী জেলা কোর্টে চলতি বছরের ১৭ মার্চ একটি মামলা করেন ।কিন্তু মামলার পর থেকেই চক্রটি তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে।
কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা তরমুজ চাষের কাজ করে থাকি । এ বছর আমাদের তরমুজের ফলন ভালো হওয়ায় এলাকার কিছু চাঁদাবাজ আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর হামলা চালায় ।সেই ঘটনায় মামলা করায় আমাকে ও আমার পরিবারকে হেনস্তা করা হচ্ছে।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা সোমবার (৩০ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার বাড়িতে এসে গালিগালাজ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টা করে এবং একই দিনের সন্ধ্যা ৬টার দিকে কালাইয়া গরুর হাটের সামনে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এই কারণে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন পেয়াদা একজন সৎ ও পরিশ্রমী কৃষক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এলাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নেই। বরং, তিনি নানা সময় অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলেও এলাকাবাসীর দাবি। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মাসুদ শরিফের মুঠোফোনে কল করলে তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম বলেন, ‘তিনি বাসায় নেই। মোবাইল বাসায় রেখে বাহিরে গেছে। তিনি বাড়িতে আসলে আপনাকে কল দিতে বলব।’
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেব। কাউকে হয়রানি করার সুযোগ দেওয়া হবে না।’