Tuesday, June 24, 2025
Homeদূর্ঘটনাচরফ্যাশনে সুপারির খোল দিয়ে তৈজসপত্র তৈরীতে ৩ যুবকের সফলতা

চরফ্যাশনে সুপারির খোল দিয়ে তৈজসপত্র তৈরীতে ৩ যুবকের সফলতা

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:

সুপারি গাছের খোল থেকে ওয়ানটাইম প্লেট, বাটিসহ তৈজসপত্র তৈরি করে সাড়া ফেলেছেন ভোলার তিন যুবক। স্বাস্থ্যকর হওয়ায় বাজারে অন্যান্য প্লেটের তুলনায় এগুলোর চাহিদাও বেশি।

চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকায় রিফাত ভুঁইয়া, সোয়েব মিয়া ও নুরে আরাফাত নামের ৩ যুবক গড়ে তুলেছেন তৈজসপত্র উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ইকো ড্রিম বিডি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্পকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শুরু হয় তাদের ব্যবসার পথচলা। গত ৩ মাস ধরে চলছে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন। এ কারখানায় প্লেট, বাটি, ফুটবক্স, সস বাটি, চায়ের কাপ, চামচসহ ১৪ ধরনের তৈজসপত্র তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে ঢাকা, বরিশাল, চট্রগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয় এসব পণ্য। প্রতিষ্ঠানে তৈরি হওয়ায় সুপারি পাতার তৈরি তৈজসপত্র দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন স্থানীয়রা। উদ্যোক্তারা জানান, তারা তিনজন মিলে নতুন কিছু করার উদ্যোগ নেন। পরে ইউটিউব দেখে সুপারি পাতার খোল থেকে তৈজসপত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তারা মেশিন কিনে কয়েক দিন পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেন। চরফ্যাশন উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সুপারির পাতার খোল সংগ্রহ করেন। বর্তমানে তাদের কারখানায় দিনে প্রায় এক হাজার পিস বিভিন্ন তৈজসপত্র উৎপাদন হচ্ছে। তাদের স্টাফরা সুপারির পাতা খোল বিভিন্ন এলাকায় থেকে ১ টাকা করে পিছ ক্রয় করেন। এরপর সেই খোল ধুইয়ে রোদে শুকিয়ে নেন। এরপর আবারও বিশুদ্ধ পানি দিয়ে পরিস্কার করা হয়। তারপর মেশিনে দিয়ে প্লেট, বাটিসহ অনান্য পণ্য তৈরি করা হয়। তাদের তৈরি এসব তৈজসপত্র ২ টাকা থেকে ১৩ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। ইকো ড্রিম বিডির সিইও প্রকৌশলী মোঃ সোয়েব মিয়া বলেন, দেশের বাইরে এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই আগামীতে তারা দেশের বাইরে রপ্তানি করার উদ্যোগে নিয়েছেন। ইতোমধ্যে বায়ারদের সাথে কথা চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য