চট্টগ্রামে মিথ্যা ঘোষণায় সিগারেট আমদানি করে শতকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির ঘটনায় ১১টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলায় কাস্টম হাউসের ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ মামলাগুলো করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছাদাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৮ সালে আসামিরা পরস্পর যোগাসজশে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি করে ১০৫ কোটি ৭২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩৩ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। ১১টি মামলার মধ্যে দুদকের প্রধান কার্যালয় ঢাকার সহকারী পরিচালক (মানি লন্ডারিং) বিলকিস আক্তার করেন ২টি, সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম করেন তিনটি, উপপরিচালক নারগিস সুলতানা তিনটি ও সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী করেন ৩টি মামলা। ১১ মামলায় কাস্টমস সংশ্লিষ্ট আসামিরা হলেন-কাস্টমসের সহকারী প্রোগ্রামার কামরুল হক, অফিস সহায়ক মো. সিরাজুল ইসলাম, শুল্কায়ন গ্রুপের সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার লিপি, মো. মেহেরাব আলী, সাইফুন্নাহার জনি, কাস্টমসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মো. হাবিবুল ইসলাম, এআইআর শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহম্মদ, কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ এবং উচ্চমান সহকারী মো. আব্দুল্লাহ আল মাছুম। এর মধ্যে কামরুল হক ১০টি এবং মো. সিরাজুল ইসলাম সুলতান আহমদ ও ফিরোজ আহমেদ ১১ মামলারই আসামি।
আমদানিকারক-ব্যবসায়ী আসামিরা হলেন-ঢাকার মিমি লেদার কটেজের গোলাম মোস্তফা, এসকেএস এন্টারপ্রাইজের রাসেদুল ইসলাম কাফি, এইচএল ট্রেড করপোরেশনের মো. আব্দুল হান্নান দেওয়ান, আরকে ইন্টারন্যাশনালের বিথী রানী সাহা, এসএএম ইন্টারন্যাশনালের মো. সেফায়েত উল্লাহ, এসডি ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনালের নাসরীন রায়হান, এ কিউ ট্রেডিংয়ের আব্দুল কুদ্দুস রায়হান, জাহিদ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মো. জাহিদুল ইসলাম, মানিকগঞ্জের সুপার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের রবীন্দ্রনাথ সরকার ওরফে রবি, গাজীপুরের খান এন্টারপ্রাইজের মো. রাশেদুল হোসেন খান এবং লক্ষ্মীপুরের এসপি ইন্টারন্যাশনালের মো. সেলিম। এরা প্রত্যেকেই একটি করে মামলার আসামি।