Tuesday, July 1, 2025
Homeআইন-আদালতগোল্ডেন মনিরের মামলা ডিবিতে হস্তান্তর

গোল্ডেন মনিরের মামলা ডিবিতে হস্তান্তর

মাদক, অস্ত্র ও কোটি টাকাসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনিরের’ বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি মামলা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে মামলা তিনটি ডিবি পুলিশের গুলশান বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।

এর আগে গত ২২ নভেম্বর পৃথক তিন মামলায় গোল্ডেন মনিরের মোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এদিন অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু বক্কর সিদ্দিক এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক মাসুদ উর রহমান।

রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন চলাকালীন সেই মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হলো।

এর আগে গত ২০ নভেম্বর রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত গোল্ডেন মনিরের বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকা, চার লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র‍্যাব।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে তৎকালীন প্রভাবশালী মন্ত্রী, গণপূর্ত ও রাজউকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপন করে মনির রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভূমি জালিয়াতি শুরু করেন। রাজধানীর বাড্ডা এলাকার রাজউকের ডিআইটি প্রজেক্টে প্রতারণার মাধ্যমে অনেক প্লট নিজের করে নেন।

অবৈধভাবে রাজউকের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দাফতরিক সিল ব্যবহার করে রাজউক পূর্বাচলে, বাড্ডায়, নিকুঞ্জে, উত্তরায় এবং কেরানীগঞ্জে বিপুল সংখ্যক প্লট করেন। বর্তমানে নামে-বেনামে দুই শতাধিক প্লটের অধিকারী।

মনিরের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার ওপর সম্পদের তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে র‌্যাব।

র‍্যাব জানায়, নব্বইয়ের দশকে রাজধানীর গাউসিয়া মার্কেটে কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী ছিলেন মনির। এরপর মৌচাক মার্কেটে ক্রোকারিজের দোকানে চাকরি নেন। সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে যুক্ত হন বিমানবন্দর কেন্দ্রিক লাগেজ পার্টি ও স্বর্ণের চোরাচালানে। পরিচিতি পান ‘গোল্ডেন মনির’ নামে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য