Wednesday, June 25, 2025
Homeরাজনীতিগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন যারা

গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন যারা


সরকার আর দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে একটি নির্বাচনে যাবে। নির্বাচনের আগে সরকারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে নানা রকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক আন্দোলন দেখা যাবে, রাজনৈতিক মেরুকরণও তৈরি হচ্ছে। সরকারবিরোধী দৃশ্যমান রাজনৈতিক আন্দোলন খুব শীঘ্রই দেখা যেতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আর এই অবস্থায় সরকার রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরকে সামনে আনার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তারা দলের ভিতরে এবং সরকারে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ, মতামতকে এখন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও আসন্ন নির্বাচনের ক্ষেত্রে মনোনয়ন বোর্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কারা ভালো কাজ করেছে, কারা ভালো কাজ করেনি এই বিষয়গুলো নিয়েও খোঁজখবর করা হবে। এসবের প্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরিচয় বহন করেন এবং রাজনৈতিকভাবে সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য তাদের গুরুত্ব পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এর মাধ্যমে রাজনীতিবিদরা আবার ড্রাইভিং সিটে আসতে পারেন। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ২০১৩ সালের উদাহরণ দিয়েছেন। সেই সময়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছিলেন এবং এই রদবদল করে তিনি রাজনৈতিক মুখদেরকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে এসেছিলেন। ২০১৪ সালের মন্ত্রিসভা হেভিওয়েটদের নিয়ন্ত্রণে ছিলো। এবারও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন-


১. আমির হোসেন আমু: আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং উপদেষ্টা কমিটির সদস্য। তিনি সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডেরও সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়কও তিনি। এ কারণে সামনের দিনগুলো রাজনীতিতে তাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে।

২. তোফায়েল আহমেদ: দীর্ঘদিন নীরবতার তোফায়েল আহমেদ ভোলায় গেছেন, জনগণের সঙ্গে মিশেছেন। এটি একটি ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করা হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে তোফায়েল আহমেদকে রাজনীতিতে আরো সক্রিয়, কার্যকর এবং দৃশ্যমান দেখা যাবে।

৩. বেগম মতিয়া চৌধুরী: বেগম মতিয়া চৌধুরী ২০১৯ সালের মন্ত্রিসভায় না থাকলেও তিনি একজন সক্রিয় নেতা, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সবসময় তাকে দৃশ্যমান দেখা যায়। সামনের দিনগুলোতে বেগম মতিয়া চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এবং সরকারের আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৪. শেখ সেলিম: শেখ ফজলুল করিম সেলিম একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ নেতা যিনি তিন মেয়াদে কোনোবারই মন্ত্রী হতে পারেননি। নিজের আত্মীয়-স্বজনদের মন্ত্রী করবেন না, এরকম অলিখিত অবস্থানের কারণেই হয়তো শেখ ফজলুল করিম সেলিম মন্ত্রী হননি। তবে দলের ভেতর তিনি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মোকাবেলায় শেখ সেলিমকে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে সংসদকেন্দ্রিক রাজনীতিতে শেখ সেলিম আরও সক্রিয় হবেন বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করছেন।

৫. জাহাঙ্গীর কবির নানক: বর্তমান সময়ে আলোচিত নেতা হলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, আস্থাভাজন, বিশ্বস্ত হিসেবেই পরিচিত তিনি। ইতিমধ্যেই তাকে সরকার এবং দলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন থেকে শুরু করে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় সংকট, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রশাসক নিয়োগ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানককে অত্যন্ত সক্রিয় দেখা গেছে। এই সক্রিয়তার কারণে তিনি আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। মনে করা হচ্ছে যে, সামনের দিনগুলোতে নানকের ভূমিকা আরো বৃদ্ধি পাবে। তাকেও দলে এবং সরকারে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা যাবে।

সূত্র : বাংলা ইনসাইডার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য