লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে গুজব ছড়িয়ে আবু ইউনুস মো. শহীদুন্নবী জুয়েলকে (৫০) হত্যার ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- আসামি আবদুর রাজ্জাক বাবলা (২৬) ও জিএম মানিক (৪৫)।
রোববার রাতে হত্যায় দায়ের করা পুলিশের ওপর হামলা এবং ইউপি ভবনে হামলার মামলায় অজ্ঞাত নামীয় আসামি বাবলা ও মানিককে বুড়িমারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার ৩৮ জন।
গ্রেফতার দুজন হলেন- লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আউলিয়ারহাট কামাতপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে আবদুর রাজ্জাক বাবলা ও একই উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা সোনারভিটা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে জিএম মানিক।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জুয়েলকে পিটিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় রাসেল ইসলাম রাজ ওরফে বিশু (২২) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের জুম্মাপাড়ার হামিদুল ইসলামের ছেলে।
গত ১৪ নভেম্বর এ ঘটনায় মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. আফাজ উদ্দিনকে (৬০) গ্রেফতার করা হয়। আফাজ উদ্দিনের বাড়ি বুড়িমারী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে।
লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দ (ডিবি) পুলিশের ওসি ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৯ অক্টোবর বুড়িমারী কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদে ‘কোরআন অবমাননার’ গুজব ছড়িয়ে জুয়েল ও তার সঙ্গী একই এলাকার সুলতান রুবায়াত সুমনকে গণপিটুনি দিয়ে ইউপি ভবনে আটকে রাখেন স্থানীয়রা। পরে সন্ধ্যায় ইউপি ভবনের দরজা-জানালা ভেঙে জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেন স্থানীয়রা।
এ সময় পাথরের আঘাতে পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মহন্তসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ জুয়েলের সঙ্গী রুবায়াত সুমনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়।