উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে শিগগিরই লন্ডন নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গতকাল এ ঘোষণা দেন বিএনপি নেত্রীর ব্যক্তিগত এই চিকিৎসক। এবার জানা গেল খালেদা জিয়ার বহুল প্রতীক্ষিত বিদেশ যাত্রার চূড়ান্ত দিনক্ষণ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ৮ নভেম্বর লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা সহায়তায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং তদারকি করছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি কারাবন্দি হয়েছিলেন। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দি ছিলেন। করোনার সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। এর পর ৬ মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।
৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনপি। সবশেষ ২১ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে বাসায় ফেরেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
সূত্র বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে চিকিৎসক, নার্সসহ আত্মীয়-স্বজন যারা যাবেন তাদের নামও জানানো হয়েছে।
৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময় আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।