খালেদা জিয়াকে বিদেশ না যাওয়ার শর্তে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় তাকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে সরকারের কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গুরুতর। তাকে বাঁচাতে হলে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। তিনি জানান, শর্তের পরিবর্তন করতে হলে প্রথমে খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তি বাতিল করে সহাবস্থানে আনতে হবে। এরপর অন্য কিছু বিবেচনা করা যাবে।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড শর্তযুক্তভাবে স্থগিত করা হয়েছিল, তাই তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই। দীর্ঘ দেড় মাস ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১০ জুন রাত পৌনে তিনটার দিকে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
অপর দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশে না পাঠালে তার কিছু হলে পরিণতি শুভ হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার সকালে তার আশু আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এই হুশিয়ারি দেন।আজ মির্জা আব্বাস বলেন, আমি আবারো অনুরোধ জানাব, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা সময় চলে গেছে। আর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে যেন দেশনেত্রীকে বিদেশে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য।
এর আগে খালেদা জিয়াকে বিদেশ চিকিৎসার অনুমতি দিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল বিএনপি। একটা কথা আমি আবারো বলছি, এই অবস্থায় দেশনেত্রীর যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আপনাদের কারো অস্তিত্ব বাংলাদেশে আমরা রাখব না। আমি দুঃখিত আমি বোধহয় একটু আবেগপ্রবণ হয়ে গেছি।