কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুরে রাস্তার মাটিকাটা বিষয় নিয়ে গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় চেয়ারম্যানের লাথিতে পায়ুপথে মল-মূত্র ও রক্তক্ষরণ হয়ে অজিউল্ল্যাহ (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে।খবর পেয়ে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডে মড়হ গ্রামে সরকারি কর্মসূচি আওতায় একটি রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। সোমবার সকালে মড়হ গ্রামের রাস্তার মাটিকাটা পরিদর্শনে আসেন চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়নের ট্যাগ অফিসার।
এ সময় অজিউল্লাহ ও তার ছেলে মহাসিন রাস্তার কাজে বাধা দেন। রাস্তার মাটি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও অজিউল্লাহর সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এমন অবস্থায় অজিউল্লাহর ছেলে মহাসিন চেয়ারম্যানকে চড়-থাপ্পড় মারলে তাদের দুইপক্ষের লোকজনে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন যুবক অজিউল্লাহর তলপেটে লাথি, চড়-থাপ্পড় ও লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তার মল-মূত্র ও রক্তক্ষরণ শুরু হয়।এ সময় অজিউল্লাহ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। হামলাকারীরা পরে অজিউল্লাহর বসত ঘরে হামলা ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়ে যায়। স্বজনরা এগিয়ে এসে অজিউল্লাহকে মনোহরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত অজিউল্ল্যাহ ওই গ্রামের মতিন স্যারের বাড়ির মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে।নিহতের স্বজনরা বলেন, রাস্তার মাটিকাটা সংক্রান্ত ও পূর্ববিরোধের জের ধরে চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিনসহ কয়েকজন মিলে অজিউল্ল্যাহকে তলপেটে লাথি, চড়-থাপ্পড় ও লাঠির আঘাত করে। এতে তার মৃত্যু হয়েছে।অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিন বলেন, সরকারি প্রকল্প কর্মসূচির আওতায় মড়হ গ্রামে একটি রাস্তায় মাটিকাটা হচ্ছে। এ সময় অজিউল্লাহ ও তার ছেলে কাজে বাধা দেন। এমনকি তার ছেলে মহাসিন আমাকে চড়-থাপ্পড় মারে। অজিউল্লাহর গায়ে কোনো আঘাত করা হয়নি। শুনেছি সে স্ট্রোক করে মারা গেছে।
এ বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় মনোহরগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুল কবির বলেন, লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।