কিশোরগঞ্জ শহরের রাখুয়াইল এলাকায় নরসুন্দা নদীর মাঝপথে প্রবাহিত নদীর মধ্যবর্তী স্থানে ঐতিহাসিক এক মসজিদ অবস্থিত। মসজিদের নাম পাগলা মসজিদ। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স (লোহার সিন্দুক) খুলে মিলেছে ১৫ বস্তা টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ-রৌপ্যলঙ্কারসহ বিদেশি মুদ্রা। প্রতি তিন মাস পর পর এ সিন্দুকগুলো খোলার রেওয়াজ থাকলেও করোনার কারণে ৪ মাস ৬ দিন পর আজ সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছে।
এই টাকা গণনার কাজে রূপালী ব্যাংকের এজিএম ও অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা, এতিমখানার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। দুপুর একটা পর্যন্ত দুই কোটিরও বেশি টাকা গণনা করা হয়েছে। পুরো টাকা-পয়সা ও অন্যান্য সম্পদ গণনা এবং মূল্যমান নির্ণয় করতে বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টা বেজে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম। পাগলা মসজিদের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, দানের টাকা মসজিদ কমপ্লেক্সের উন্নয়নসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা, এতিমখানার উন্নয়নের পাশাপাশি দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী এবং দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত দুস্তদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়ে থাকে।