Wednesday, June 25, 2025
Homeদেশগ্রামহবিগঞ্জে নদীতে বাড়ছে পানি, এক গ্রাম প্লাবিত

হবিগঞ্জে নদীতে বাড়ছে পানি, এক গ্রাম প্লাবিত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :

সিলেট ও সুনামগঞ্জের পর এবার হবিগঞ্জে বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামের বেশ কিছু বাড়িঘর। কুশিয়ারা নদীতে সিলেট অংশের শেরপুরে বাঁধ না থাকায় ওই গ্রামে পানি প্রবেশ করে। হবিগঞ্জ অংশে মাত্র কয়েক ইঞ্চি পানি বাড়লেই লোকালয় প্লাবিত হবে।

এ অবস্থায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর, পারকুল ও ফাদুল্লাপুরসহ কয়েকটি গ্রাম। এদিকে অব্যাহতভাবে পানি বাড়ছে জেলার নদীগুলোতে।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মহিউদ্দিন জানান, কুশিয়ারা নদীতে পানি বাড়ছে। খোয়াই নদীতেও পানি বাড়ছে, এ পানিরও চাপ পড়ছে কুশিয়ারা নদীর ওপর। উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহপাড়পুর, পারকুল, ফাদুল্লাপুর এলাকায় নদীর বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এখানে বাঁধ অনেক নিচু। তাই পানি বাড়লে বাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে। তবে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, সিলেটের শেরপুর অংশে নদীতে বাঁধ নেই। ফলে নদীর পানি গালিমপুর গ্রামে প্রবেশ করে কয়েকটি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। সেখানে ইতোমধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রেরণ করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন বলেন, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কুশিয়ারার পানি এখনও বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। তবে অব্যাহতভাবে পানি বাড়ছে। পারকুল ও ফাদুল্লাপুর বাজার অংশে বাঁধ নিচু হওয়ার কারণে এ অংশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব স্থানে বালুর বস্তা দেওয়া হয়েছে। মাত্র ৭-৮ ইঞ্চি পানি বাড়লেই সেখানে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে। তাই বন্যা ঠেকাতে বালুর বস্তা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদনদীর পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে কুশিয়ারার তীরবর্তী দীঘলবাক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের মাঝে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাঁধ মেরামতে ইতোমধ্যে ফেলা হচ্ছে বালুভর্তি ব্যাগ।

এদিকে রোববার হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী, জেলা প্রকৌশলী আব্দুল বাতির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী সাব্বীর আহমেদ, হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন, দীঘলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছালিক মিয়া নদীতীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, বন্যা প্রতিরোধে বাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোথাও বাঁধ ভেঙে গেলে ও নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে জানানোর জন্য এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দীঘলবাকের মাধবপুর গালিমপুরে কিছু অংশে পানি উঠেছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য