লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি :
ভোলার লালমোহনে মারধরের জেরে আদালতে মামলা করায় বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে গাছ থেকে সুপারি পেড়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি উপজেলার চরভুতা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড তারাগঞ্জ এলাকার কালু মহাজন বাড়ির। ওই বাড়ির মৃত আ: কাদেরের মেয়ে খালেদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের প্রতিবেশী মো. মফিজ গং ও চাচা চান মিয়া গং এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের বিরোধ চলে আসছে।
গত ১০ অক্টোবর মফিজ গং-এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার মা সুলতানা রাজিয়াকে বেদম প্রহার করে। তখন মাকে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করি। মায়ের অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে ডাক্তার ভোলা হাসপাতালে প্রেরণ করে। মাথায়, বুকে এবং শরীরে বিভিন্ন আঘাতের কারণে মায়ের গত ২৬ অক্টোবর অপারেশন করতে হয়। তিনি এখনো অসুস্থ। একটু সুস্থ হলে আমরা মাকে ভোলা হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসি। বাড়িতে আসার পর মা আবার অসুস্থ হয়ে পরলে এরপর পূন:রায় মাকে ভোলা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করি।
আমার মা বাদী হয়ে মো. মফিজ গং-এর বিরুদ্ধে ভোলা আদালতে মামলা করে। বর্তমানে মামলাটি চলমান অবস্থায় রয়েছে। মা অসুস্থ এবং আমাদের বাড়ি ফাঁকা পেয়ে, মফিজের নেতৃত্বে এর আগে একবার এবং আজ বুধবার আবার আমাদের গাছ থেকে সুপারি পেরে নিয়ে যায়। এ পর্যন্ত তারা আমাদের গাছ থেকে প্রায় ১ হাজার সুপারি পেড়ে নিয়ে গেছে। আমি তাদের এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চাচ্ছি, লালমোহন উপজেলা প্রশাসন ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এর কাছে। মফিজ গংরা আমাদের উপর বিভিন্ন জোর জুলুম ও অত্যাচার করতেছে। আমাদেরকে মারধর করছে ও হয়রানির শিকার করছে। আমরা সকলের কাছে ন্যায় বিচার চাচ্ছি।
এ ব্যাপারে মো. মফিজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের গাছের সুপারি আমরা পেরেছি। তাদের গাছের সুপারি আমরা কখনো পারিনাই। আমাদের বাবা চাচারা বাড়ির জমি যেভাবে ভাগ করে দিয়েছে আমরা সেভাবে ভোগ দখল করে আসছি।


















