সাংবাদিক, যিনি পত্রিকার সাথে কাজ করেন্ বা পত্রিকার প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেন। যাদেরকে দেশ বৃদ্ধিজীবি হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। যিনি কোন পত্রিকার প্রধান অফিস বা শাখা অফিসে কাজ করেন। পত্রিকার মালিক তাদেরকে মাসিক বেতন ভাতা দেয়া হয়। আর যারা মফস্বল এলাকার জেলা প্রতিনিধি বা উপজেলা বা থানা প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেন তাদেরকে মুষ্টিমেয় কিছু পত্রিকা ছাড়া বেশীরভাগ পত্রিকার মালিক জেলা প্রতিনিধি বা উপজেলা বা থানা প্রতিনিধিদেরকে কোন প্রকার সন্মানী বা কোন টাকা পয়সা দেয় না। শুধুমাত্র বিনে পয়সায় বা অনেক ক্ষেত্রে টাকার বিনিময়ে একটা আইডি কার্ড দিয়ে থাকেন।
সেই সাংবাদিকতার আইডি কার্ড হয় ঐ সাংবাদিকের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম। সাংবাদিকতার আইডি কার্ড দিয়ে স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য হয়ে শুরু করে বিভিন্ন ধান্দাবাজী। প্রেস লেখা ছাপানো কাগজ মটর সাইকেলের সামনে লাগিয়ে, গলায় প্রেস লেখা ফিতাসহ আইড কার্ড ঝুলিয়ে চলাচল করা,
গলায় ঝুলানো ব্যাগে সাংবাদিক লেখা স্টিকার লাগিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছে গিয়ে তাদের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়, বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে চাঁদাবাজী ইত্যাদি ইত্যাদি। যেমন, কোন ৪র্থ শ্রেনীর সরকারী কর্মচারী জমি কিনলে সাংবাদিককে টাকা দিতে হবে, মৎস্য অফিস থেকে অভিযান করে জাটকা আটক করে তা এতিম খানায় ও হাফিজিয়া মাদ্রাসায় দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইন মিডিয়ার কতিপয় সাংবাদিকদেরও আটককৃত জাটকা ইলিশ দিতে হবে, ভূমি জরিপ অফিস থেকে নিয়মিত মাশোহারা দিতে হবে, কোন ব্যবসায়ী সফল ব্যবসা করার পর কোন প্রকার এওয়ার্ড পেলে সাংবাদিকদের টিপস দিতে হবে, কোন কাজী সাহেব বড় লোকের বিয়ে শেষ করার পর তার চেম্বারে এলে সাংবাদিকদের কমিশন দিতে হয়। কোন স্কুল বা কলেজে নিয়োগ পরীক্ষা হলে সেখানেও সাংবাদিকরা হাজির হন, সাংবাদিকদের চা নাস্তা করাতে হবে, দিতে হবে মোটর সাইকেলের পেট্রোল কেনা বাবদ সন্মানী। কোন প্রকার প্রেস কনফারেন্স করলে তা ছাপানোর জন্য টিাকা দিতে হবে। কোন পত্রিকায় কাহরো বিরুদ্ধে সংবাদ ছাপা হলে, সেই সংবাদের প্রতিবাদ ছাপাতে ঠাক দিতে হবে। কাহরো বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা হলে, সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করতে চাইলে সাংবাদিককে টাকা দিতে হবে। পরিশেষে বলবো, মফস্বল সাংবাদিকতার কোন দিকে যাচ্ছে? (চলবে)
তথ্যসূত্রঃ ফেইজ বুক পোষ্ট ও বাস্তবতা।
