মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিনঃ
আমাদের দেশে প্রতিদিন অনাকাংখিত দূর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচেছ। একটু সতর্কতা অবলম্বন করলে এই প্রকার দূর্ঘটনার হাত থেকে বেচেঁ যাওয়া সম্ভব। প্রায় নির্মানাধীন ভবন থেকে পরে শ্রমিক নিহত হওয়ার সংবাদ পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন পূর্বে পান্থপথে এক স্কুাল ছাত্র নির্মাধীন ভবনের উপর থেকে ইট মাথায় পরায় নিহত হয়েছিল। নামসর্বশ্য কিছু ডেভোলপার কোম্পানী ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে কোন প্রকার নিয়ম কানুন মানছে না।
ডেভোলপার কোম্পানীর কাছে অনুরোধ শুধু মাত্র লোক দেখানো বেষ্টনি দিয়ে নির্মান কাজ করবেন না, নির্মান কাজে যাহারা জরিত তাদেরকে শতর্কতার সাথে কাজ করার পরামর্শ দিন এবং প্রশিক্ষন দেন। কারন ভবন নির্মান কাজ করার সময় শুধু মাত্র পথচারী হতাহত হন না, নির্মান শ্রমিক ও হতাহত হন। হতাহতের ঘটনা ঘটার পর কয়েকদিন এ নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি হয়, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট আর প্রকাশ হয় না। তারপর সব বন্ধ হয়ে যায়। ভবন নির্মান বা মেরামতের জন্য অনুমতি প্রদান করা কর্তৃপক্ষ রাজউক এর পরিদর্শক দল বা দয়িত্ব¡প্রাপ্ত ব্যক্তি কি কখনো ভবন নির্মানের অনুমতি দেয়ার পর পরিদর্শন করেছেন যে, ভবন নির্মাতা নির্মান কাজে যথাযথ নিরাপত্তা বেষ্ঠনি দিয়েছে কিনা। নাকি অফিসে বসেই পরিদর্শনের রিপোর্ট তৈরী করেই যাতায়াত ভাতা ভোগ করছেন। আর আপনাদের অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতার জন্য প্রায় প্রান দিতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে, নিরীহ পথচারীদেরকে এবং নির্মান শ্রমিককে। বলতে পারেন আপনাদের অবহেলার কারনে আর কত মানুষ এভাবে জীবন দিবে ? আপনাদের দায়িত্বে¡
অবহেলার কারনে সাধারন মানুষের জীবনহানীর কারন হচ্ছে, মা হারাচ্ছে সন্তান, স্ত্রী হারাচ্ছে স্বামী, কিন্তু কেন ? আপনাদের ও তো মা, বোন, সন্তান আছে, তারা যখন বিপদে পরে তখন কি একবারের জন্য মনে করেন যে, আপনার অপকর্মের ফল তারা ভোগ করছে।
বিজ্ঞানী নিউটন একটি সূত্র আবিস্কার করে গেছেন ”প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে” আর তা হলো আপনি দূর্নীতি ও অবহেলার কারনে সাধারন নিরীহ মানুষের ক্ষতি করলে আপনার ও একদিন ক্ষতি হবে।
ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এর কর্মকর্তারা কি নেট দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করেই তাদের দায়িত্ব শেষ করবেন। নাকি নিয়মিত তদারকি করে সাধারন মানুষের জীবন রক্ষা করবেন।