শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা , টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে বহুল আলোচিত স্কুল ছাত্র শিহাব হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত চার আসামিআত্মসমর্পণ করেছেন। বুধবার (১০ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ এরআদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। পরেবিচারক উভয় পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি তর্ক শোনার পর বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিননামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।আত্মসমর্পণকারী আসামিরা হলেন- মামলার ২ নং আসামি বিপ্লব (৩০), ৩ নংআসামি আশরাফ (৩০), ৪ নং আসামি মাসুম (৪০) ও ৬ নং আসামি বিজন (৪০)।আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস আকবর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আসামী পক্ষ উচ্চ আদালতে অন্তবর্তী জামিনের আবেদন করেন। তবে উচ্চ আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর না করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নি¤œ আদালতে জামিনআবেদন করার জন্য নির্দেশনা দেন। আজ সেই নির্দেশনার শেষ দিন আসামী পক্ষআইনজীবীর মাধ্যমে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি তর্ক শোনার পর বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করেকারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।বাদি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মো. রাসেল রানা। অপরদিকে আসামি পক্ষে মামলাপরিচালনা করেন এডভোকেট শরিফুল ইসলাম রিপন।আত্মসর্মপণের আগে মামলার এজাহারভূক্ত আসামি বিজন বলেন, আমরা এতোদিননিয়মিত স্কুলে গিয়েছি, ক্লাস নিয়েছি। গত গত ৩০ জুন উচ্চ আদালত(হাইকোর্ট) থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেই। আজ টাঙ্গাইলে আত্মসমর্পণকরে জামিন চেয়েছি। নিহত শিহাবের বাবা ইলিয়াস হোসেন বলেন, পুলিশ সৃষ্টি একাডেমির পরিচালকরিপনের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে, তাই পুলিশ আর কোন আসামি গ্রেফতার করেনি।আল্লাহর ইশারায় তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।উল্লেখ্য, গত ২০ জুন শহরের সুপারি বাগান এলাকায় সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলেরআবাসিক ভবনের সাত তলা থেকে শিহাব মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শুরু থেকেইশিশুটিকে হত্যার অভিযোগ তুলে আসছিল তার পরিবার। এঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়েটাঙ্গাইল সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশের পররোববার বিকেলে র্যাব সাতজন শিক্ষক ও পুলিশ দুইজন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যআটক করে। পরে র্যাব তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কোনও তথ্য না পাওয়ায় তাদের সাতজনকেছেড়ে দেয়।পরে ২৭ জুন নিহত শিহাবের মা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় ৬ জনকে আসামি করেএকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলেরআবাসিক শিক্ষক আবু বক্কর, বিপ্লব, আশরাফ, মাসুদ, মতিন ও বিজন। পুলিশ মামলারআগে শিক্ষক নাসির ও আবু বক্করকে আটক করলেও মামলায় নাসিরের নাম না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।