আজ শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। দরপতন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত কয়েকদিন বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারের দরবৃদ্ধি একা সূচকের পতন ঠেকিয়ে পরোক্ষে বাজারের পতনকে ঠেকানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু মাত্র দুই সপ্তাহে শেয়ারটির দর ১৪০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা হওয়ার পর সোমবার এ শেয়ারের কিছুটা দর সংশোধন পুরো বাজার পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলেছে। লেনদেনে আসা প্রায় ৯০ শতাংশ শেয়ার দর হারানোয় প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৩৭ পয়েন্ট হারিয়ে ৬৮৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। সূচক পতনের হার ছিল ১.৯৫ শতাংশ।
সূচকের এ পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারের দরপতন। গতকালের তুলনায় ৯ টাকা দর হারিয়ে ১৫৮ টাকা ৫০ পয়সায় কেনাবেচা হওয়ায় শেয়ারটি সূচক কমিয়েছে ২২ পয়েন্টেরও বেশি। বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত কিছুদিন ধরে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি শ্রেণীর বড় বিনিয়োগকারীরা যতটা শেয়ার কিনছেন তার থেকে শেয়ার বিক্রি করছেন বেশি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের বিক্রি অনেক শেয়ারের দর পতনকে উস্কে দিয়েছে বলে জানায় ওই সূত্র। সক্রিয় বাজার কারসাজি চক্রগুলোও একই কাজ করছে।
আজ সোমবার লেনদেনের সাড়ে তিন ঘণ্টা পর দুপুর দেড়টায় প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে লেনদেন হচ্ছিল ৩৭৬ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে মাত্র ৩১টি দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছিল। বিপরীতে দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছিল ৩৩০টি। দর অপরিবর্তিত অবস্থায় কেনাবেচা হতে দেখা যায় ১৫ শেয়ারকে। এ সময় পর্যন্ত এ বাজারে ৯২৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।এর বাইরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর কারণে প্রায় ১৩ পয়েন্ট, বেক্সিমকো ফার্মার কারণে ৯ পয়েন্ট, সামিট পাওয়ারের কারণে ৭পয়েন্ট, স্কয়ার ফার্মার দরপতনে ৬ পয়েন্ট হারায় ডিএসইএক্স সূচক।
দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে সূচকটির পতন ছিল আরো ভয়াবহ। ওই সময় সূচকটি গতকালের তুলনায় ১৬৪ পয়েন্ট হারিয়ে ৬৮৪১ পয়েন্টে নেমেছিল। সূচক পতনের হার ছিল ২.৩৪ শতাংশ। এর আগে চলতি অক্টোবরে গতকাল পর্যন্ত ১৫ কার্যদিবসে সূচক হারিয়েছিল ৩২৩ পয়েন্ট। এর মধ্যে ১০ কার্যদিবসে সূচকটি হারিয়েছিল ৪৫৪ পয়েন্ট। বিপরীতে বাকি ৫ কার্যদিবসে বেড়েছিল ১৩১ পয়েন্ট।


















